কৃষিবাড়ীর মূল লক্ষ নিজস্ব বাগান থেকে বিষমুক্ত আম হারভেস্ট করে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে পৌছানো অথবা কৃষক বা খামারীদের কাছ থেকে সরাসরি জনগনের হাতে পৌছানো। এখানে কোন চ্যানেল, আড়ৎদার বা কোন প্রকার মিডিয়া থাকবে না। তাতে করে কৃষক তার নায্য মুনাফা পাবে এবং কর্মস্পৃহা আরোও বাড়বে।
বাগান থেকে প্যাকিং হয়ে সরাসরি চলে যাবে আপনার হাতে। বাছাইকৃত সেরা আমগুলো আপনাদের জন্য প্যাকিং করা হয়। আমাদের নিজস্ব বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে এবং কোনরকম ফরমালিন, ইথিলিন বা অন্য কোন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য থেকে সম্পূর্ণ কেমিক্যাল মুক্ত আম।
টাকা দিয়ে বিষ কিনে খাবেন কেন? আপনার চারপাশে চকচকে, রঙিন টসটসে যে আম দেখছেন, তার অধিকাংশই বিষে ভরপুর! বিষ কেনা থেকে দূরে থাকুন। সরাসরী বাগান থেকে আম কিনুন।
আমাদের আম সমূহ 👇
ফরমালিন মুক্ত আম কেন খাবেন? আমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কি কি?
- পাকা আম আমাদের ত্বক কে সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের ত্বকের ভেতর ও বাইরে থেকে উভয়ভাবেই সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। আম আমাদের ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও উজ্জ্বল দেখায় এবং ব্রণের সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- গাছপাকা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ লবণের উপস্থিতিও রয়েছে । আমাদের শরীরের দাঁত, নখ, চুল ইত্যাদি মজবুত করার জন্য আমের খনিজ লবণ উপকারী ভূমিকা পালন করে।
- ডাক্তারের ভাষ্যমতে, যদি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খান তাহলে আপনার মুখের কালো দাগ দূর হবে
- আমের উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আমের পুষ্টি উপাদান। পাকা আমের আঁশে কিছু উপাদান যেমন- ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ থাকায় তা হজমে সহায়তা করে থাকে। আমে আছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম এটা আমাদের শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে
- আমে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ ও সবল রাখে
- আমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন- বি কমপ্লেক্স। এই ভিটামিন আমাদের শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরকে রাখে পুরোপুরি সতেজ। যার ফলে খুব দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে
- আমে রয়েছে বেটাক্যারোটিন, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম। এসব উপাদান পরিমাণে পর্যাপ্ত থাকায় পাকা আম হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।আমাদের হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে
- আপনি যদি প্রতিদিন এককাপ আম খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারবে। ভিটামিন ‘এ’ আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে
- আমে প্রচুর পরিমাণে এসিড থাকে যেমন- টারটারিক এ্যাসিড, ম্যালিক এ্যাসিড ও সাইট্রিক এ্যাসিড যা আমাদের শরীরে অ্যালকালাই বা খার ধরে রাখতে সহায়তা করে অনেকাংশে
- আমের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন প্রোস্টেট ক্যান্সারের মত মারাত্মক ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
- পাকা আম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমদের হার্টবিট ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আমাদের হার্টবিটকে সচল রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
- পাকা আম আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কারে সহায়তা করে। আমের মধ্যে থাকা টারটারিক, ম্যালিক ও সাইট্রিক এ্যাসিড শরীরে অ্যালকোহল ধরে রাখতে সাহায্য করে
- আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন-সি এর পরিমাণ বেশি। যা আমাদের দাঁত ও হাড় গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে
- আম আমাদের শরীরের ক্ষয়রোধ করে। প্রতিদিন আম খেলে দেহের ক্ষয়রোধ হয় এবং স্থূলতা কমিয়ে শারীরিক গঠনে ইতিবাচক ভূ বুঝতেই পারছেন আমের উপকারিতা অপরিসীম।
অবশ্যই আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা আম খাবেন। তবে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত আম খেতে হবে। বাজারের ফরমালিন যুক্ত আমের উপকারিতা থেকে অপকারিতাই বেশি হয়ে থাকে।
আম খাওয়ার অপকারিতা
যদিও আম খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই বিরল, তবে আপনি যদি এটি বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তবে আপনাকে এর কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতে পারে। যেমনঃ-
- যেহেতু এটি প্রাকৃতিক চিনির একটি সমৃদ্ধ উৎস, তাই এর উচ্চ মাত্রায় খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি করে আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। যাইহোক, এটিও সত্য নয় যে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মিষ্টি ফল এড়ানো উচিত কারণ তারা ডায়াবেটিসে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু ফল অন্যদের তুলনায় বেশি চিনি থাকে, তবে এটি মোট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট যা একজনের রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে, কার্বোহাইড্রেটের উত্স নয়, উৎসটি স্টার্চ বা চিনি। বলা হয় যে ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফলটি 83 গ্রাম পর্যন্ত খেতে পারেন।
- এছাড়াও আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যার কারণে অতিরিক্ত সেবনে ডায়রিয়াও হতে পারে।
রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম চিনবেন যেভাবেঃ
- পুরো আমের খোসাই উজ্জ্বল হলুদ রঙের হবে যদি সেটা রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয়।
- পাকা আমে যদি রস তুলনামূলকভাবে কম থাকে। (তবে সব জাতের আম এর ক্ষেত্রে না)
- ন্যাচারাল আমের গন্ধ আসবে নাহ।
কিভাবে আপনার আম গুলো পাকাবেন?
- আমগুলো সরাসরি মেঝেতে না রেখে একটি কাগজের খোলা বক্সে কিংবা পেপার এর উপর রাখবেন।
- আমগুলো হাত দিয়ে চাপবেন না।
- কাগজের ব্যাগ বা খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
- শুষ্ক এবং গরম জায়গায় রাখুন।
- চালের মধ্যে আম গুলো রাখলে দ্রুত পেকে যাবে।
- কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
কিভাবে বুঝবেন আম পেকেছে?
- আমগুলো হালকা অথবা গাড় হলুদ রঙের হবে।
- পাকা আম থেকে মিষ্টি ঘ্রান পাবেন।
- আমের বোঁটার অংশটি শুকিয়ে যাবে।
- আমগুলো হালকা নরম হবে।
“আসল আমের স্বাদ পেতে হলে ভালভাবে পাকিয়ে খাবেন !!!”
আমাদের থেকে কেন আম নিবেন ?
- আমরা নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমগুলো উৎপাদন করে থাকি।
- বাজারের বেশিরভাগ আম ফরমালিনযুক্ত অন্যদিকে আমাদের আমগুলো সম্পূর্ণ ন্যাচারাল এবং ফরমালিনমুক্ত।
- আমাদের আমগুলো ফরমালিনমুক্ত এবং ন্যাচারাল হওয়ায় খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি।
- আমাদের আমগুলো সম্পূর্ণ ন্যাচারাল এবং সাস্থসম্মত হওয়ায় এই আম সাস্থের জন্য অনেক উপকারি।
- আমাদের ভিডিওতে দেখানো পন্যের সাথে যদি বাস্তবে মিল না পান তাহলে পন্য রিটার্ন করে টাকা ক্যাশব্যাক নিতে পারবেন।
সম্মানীত কাষ্টমারদের পজিটিভ রিভিউ